মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ১৩)

মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ১৩)
মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ১৩)
মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ১৩)

৩৫০ ফুট উঁচু লোটাস টাওয়ার শ্রীলংকার একটি আইকনিক স্থাপনা; দেখতে অতি সুন্দর এটি। পৌঁছে গেছি দুপুর দুইটার মধ্যে; মাথার উপরে গনগণে সূর্য, বাতাসে আর্দ্রতা মারাত্মক।

এই অবস্থায় এখানে বেশীক্ষণ থাকলাম না; ফিরে যাবার আগে আবার আসব এমন সংকল্প মনে মনে আঁটলাম, কারণ, শুনেছি, রাতের লোটাস টাওয়ার খুব সুন্দর লাগে।

যাবার আগে দেখে নিলাম, এখানে প্রবেশ করতে ২০ ডলার তথা ৬৭০০ শ্রীলঙ্কান রুপি লাগে; খুবই বেশী মনে হয়েছে, এখানে প্রবেশ করে এটা দেখার কিছু নেই, এটা বাইরে থেকেই সুন্দর!

সেখান থেকে টুকটুক নিলাম রেড মসজিদ তথা জামি-উল-আলফার মসজিদের উদ্দেশ্যে; এটি একটি বিখ্যাত স্থাপনা। এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৯০৮ সালে এবং এটি উন্মুক্ত হয় ১৯০৯ সালে। মূলতঃ কলম্বোর নিউমার্কেট হলো এই অঞ্চল।

এই মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এক বিশাল বাজার; মানি এক্সচেঞ্জ ও এটিএম বুথ থেকে শুরু করে হেন কোন জিনিস নেই যা এই অঞ্চলে পাওয়া যায় না। ফুটপাত থেকে শুরু করে সুন্দর সুন্দর শো-রুম, সব এভেইলেবল; তবে সবকিছুর দাম বেশী!

শ্রীলংকার মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় এখানে মূল্যস্ফীতি অকল্পনীয়; আমাদের দেশের এখন যেমন অবস্থা, তেমন আর কি। কেনার মত তেমন কিছু পাওয়া গেল না; ফলে, চকলেট, বাদাম, মসলা এসব কিনলাম আর আমার নিজের জন্য একটা ওয়েস্ট ব্যাগ ও একটা লুংগি কিনলাম।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে আমরা একটা টুকটুক নিয়ে চলে গেলাম ‘গল ফেস গ্রীন’ নামক জায়গায়; আহা! এখানে যে আসেনি, সে শ্রীলংকা দেখেনি! এখানে বসে সমুদ্রের দিকে অপলক চেয়ে থাকা যায়; ক্লান্তি আসে না।

একদিকে বিশালাকার সমুদ্র, অপরদিকে বিশালাকার এক সবুজ মাঠ আর তার পাশে নির্মাণাধীন টুইন টাওয়ার, এ সবকিছুই এই অঞ্চলকে সবার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করেছে।

Scroll to Top