মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ০১)

মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ০১)
মালদ্বীপ-শ্রীলংকা | এক টিকেটে দুই ছবি (পর্ব ০১)

শ্রীলংকান এয়ারলাইনস এর বিড়ম্বনার শুরু একেবারে এয়ারপোর্টে ঢুকতেই; প্রাথমিক চেকিং এর পরই বোর্ড নজরে এলো, ফ্লাইট দুই ঘন্টা লেট! যাই হোক, চেক-ইন লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলাম, বিরাট লম্বা লাইন! ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম, একটি মাত্র কাউন্টারে কয়েক’শ যাত্রীর চেক-ইন হচ্ছে!

আমি একজন সুপারভাইজারকে বললাম, একটা কাউন্টারে তো একজন ফ্রি বসে আছে, তার কাছে কিছু যাত্রী পাঠান; তিনি বললেন, উনি বিজনেস ক্লাসের যাত্রীর চেক-ইন করেন! আজগুবি গল্প; কাউন্টার ফ্রি থাকলে সবাই ইকোনমি ক্লাসের চেক-ইনও করে দেয়।

এক দেড় ঘন্টা পর যখন আমার সিরিয়াল আসবে আসবে করছে, তখন দেখলাম, কাউন্টারে বসা মেয়েটা তার হাতের দুই আংগুল নাকের দুই ফুটায় ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং ঠিক পরপরই নীচের দিকে চাপ দিয়ে আংগুল বের করে নিয়ে এসেছে; উদ্দেশ্য ময়লা থাকলে পরিষ্কার করা! কোন টিস্যু দিয়ে আংগুল না মুছে সে পাসপোর্ট চেক করতে লাগল।

গা ঘিন ঘিন করছিল আমার! সামনে আরো দুই তিনজন ছিল; মনকে প্রবোধ দিচ্ছিলাম, নাকে ময়লা যদি কিছু থাকেও, তবে তোদের পাসপোর্টের পাতায় তা লেগে যাক! একটা মেয়ের এই শিক্ষা নেই যে, এমন পাবলিক প্লেসে সবার সামনে নাকে আংগুল দেয়া যায় না!

যাই হোক চেক-ইন সেরে বাচ্চাদের নিয়ে নাস্তা পানি খেয়ে অপেক্ষা করছি, বোর্ডিং পাসে লেখা আছে গেট নাম্বার ৯। সময়মতো ৯ নাম্বার গেটে গিয়ে দেখি কেউ নেই, গেট খালি! এদিক সেদিক তাকিয়ে একজনকে জিগ্যেস করলাম, শ্রীলংকান এয়ারের বোর্ডিং কোথায়? বললেন, এটা চেঞ্জ হয়ে গেছে, আপনি ৫ নাম্বার গেটে যান!

অবশেষে, ১২ঃ৫৫ এর প্লেন ৩ঃ১০ এ ছাড়ল এবং মোটামুটি সন্ধ্যা নাগাদ শ্রীলংকার বন্দরনায়েকে এয়ারপোর্টে গিয়ে পৌঁছলাম। হোটেল ঠিক করাই ছিল, সেখান থেকে গাড়ি আসবার কথা, এখনো এসে পৌঁছেনি; আলাপ সব হচ্ছিল এয়ারপোর্টের ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে।

অবশেষে একটা গাড়ি এলো, বাইরে বেরিয়ে দেখলাম, ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে; সে কি বৃষ্টি! এমন অসময়ে এমন বৃষ্টি নাকি এক মাস যাবত হচ্ছে! সেই বৃষ্টির মধ্যে হোটেল নামক এক পুরাতন ভুতুড়ে বাড়ীতে গিয়ে উঠলাম।

Scroll to Top