যারা মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা, বিশেষতঃ মালদ্বীপ যেতে চান, তাদের জন্য এই সিরিজ পাঠ উপকারী হবে; এখানে আমি প্রয়োজনীয় ও সাশ্রয়ী টিপসগুলো দিয়ে দিব ইন শা আল্লাহ, সাথে ছোট একটা ভিডিওও বানানোর ইচ্ছে আছে।
মূলতঃ এই প্যাকেজে শ্রীলংকা এড করা হয় ট্রানজিট প্লেস হিসেবে। কিন্তু সেটারও হ্যাপা আছে; বাস্তবে এই নিয়মে আপনার দুইবার এন্ট্রি নিয়ে দুই রাত অনায়াসে থাকতে পারার কথা, কিন্তু এখন এই দুই রাতের জন্য বা এক রাতের ট্রানজিটের জন্য ETA করতে হয় যাতে প্রায় ২০ ডলার মত খরচ হয়। আর যদি এটা না করে যান, তবে এয়ারপোর্টে ২৫ ডলার ওরা চার্জ করে।
আবার, এই ইটিএ ভিসা দিয়ে আপনি দুই দিনের বেশী থাকতে পারবেন না, দুই দিনের বেশী থাকতে হলে তখন আরো কয়েক হাজার টাকা খরচ করে মাল্টিসিটি ভিসা নিতে হয়; আমাকে এমনটাই বলা হয়েছে এজেন্সি থেকে।
যাই হোক, আমার হোটেলের নাম ব্রাদার্স শেড; এটা একটা পুরাতন বাড়ী, যেটাকে নতুন রূপে রিসোর্টে রূপ দেবার চেষ্টা করছে দুই ভাই। এক ভাই আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে এনেছে; মোট সময় লেগেছে ১০ মিনিট, এটা এয়ারপোর্ট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে।
খরচের হিসেব দিয়ে দেই; যে কোন শ্রীলংকান রুপিকে ২.৭২ দিয়ে ভাগ দিলে সেটা বাংলা টাকায় কনভার্ট হবে। এরা আমার কাছে হোটেল ভাড়া নিয়েছে ৬,৫০০ রুপি, এয়ারপোর্ট পিক এন্ড ড্রপ ১,৫০০ করে ৩,০০০ রুপি আর রাতে ৮ পরোটা, ৪ ডাল আর ৪ ডিমের দাম নিয়েছে আরো ১,৫০০ রুপি।
আমি এই মোট ১১,০০০ রুপি পরিশোধ করে থাকার ঘরে মনযোগ দিলাম; বলে রাখা ভালো, ডুয়াল কারেন্সি কার্ডে ২৫,০০০ রুপি তুলেছিলাম যেখানে চার্জ কেটেছিল ওরা ৮০০ রুপি।
রুমে দুটি বেড আছে; একটি বড়, একটি ছোট। দুটি বাথরুম আমাদের ব্যবহার করতে দিয়েছে যার একটারও ছিটকিনি লাগে না! মোবাইল চার্জ দেয়া যাচ্ছে না, কারণ, আধুনিক প্লাগ নেই; পরে মাল্টিপ্লাগ এনে কাজ সেরেছি।
রাতটা কোনরকমে কাটিয়ে সাড়ে চারটায় ওদের গাড়িতে করে এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখলাম, এই প্লেন আবার লেট! এই প্যাকেজের সিস্টেম হলো, এটি ঢাকা-কলম্বো-মালে ও মালে-কলম্বো-ঢাকা যাতায়াত করে। কেউ চাইলে কলম্বোতে ট্রানজিট নিয়ে স্টে করতে পারে আবার না চাইলে দিনে দিনেও ফিরতে পারে যদি টিকেট সেভাবে কাটে।
যাই হোক, ১ ঘন্টা ২৫ মিনিটের যাত্রা শেষে পৌঁছে গেলাম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু মালে এয়ারপোর্টে! এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই দেখি নীল পানির সমুদ্র; মূহুর্তেই সকল ক্লান্তি আর বিষাদ দূর হয়ে গেল, আত্মা যেন খুঁজে পেল তার আত্মীয়!