চোখ জুড়ানো গোলাপের সমাহার

চোখ জুড়ানো গোলাপের সমাহার
শ্যামপুর গ্রামের গোলাপের বাগান
গিয়েছিখরচথেকেছিআলাদা কিছু
১ জন১৫০০/-১ দিন (সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা)ছাতা, এবং কেডস অবশ্যই নিবেন

ইতোমধ্যেই সবার মন-প্রাণ কাড়া গোলাপ গ্রাম নামে খ্যাত শ্যামপুর গ্রামের গোলাপের বাগানগুলি এই মূহুর্তে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে; গত শুক্রবার বেড়িয়ে এলাম সেই অনিন্দ্যসুন্দর জায়গা থেকে। সেই গল্পই আজ করব।

শ্যামলী থেকে শ্যামপুর ফুলের বাগান মোট ১৮ কিমি রাস্তা। প্রাইভেট গাড়ি থাকলে সেটাতে চড়ে যেতে পারেন নতুবা যে কেউ মিরপুর এক নম্বরে শাহ আলী মাজারের কাছে এলে দেখবেন সেখান থেকে লেগুনা ছাড়ে আকরান (আঞ্চলিকভাবে আকরাইন) বাজারের উদ্দেশ্যে; ভাড়া ২৫ টাকা; এটি বিরুলিয়া ব্রীজের উপর দিয়ে যায়। সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত অটোতে করে শ্যামপুর ফুলের বাগান। প্রাইভেট গাড়ির পার্কিং ফি ৫০ টাকা।

মনে রাখতে হবে, শ্যামপুর বাগানের আগেও কিছু বাগান আছে বাগ্নীবাড়ি বাগান নামে। এখানেই নেমে যাবেন না, আরো সামনে এগিয়ে পাবেন শ্যামপুর বাগান। এখানে রয়েছে গোলাপের রাজ্য, কত বাগান আছে আর কত কত ফুল আছে তার ইয়ত্তা নেই। গোলাপ কিনতে পাওয়া যায় এখানে দেড় টাকা থেকে দুই টাকা প্রতি পিস, যেগুলো নূরজাহান রোডের মোড়ে বিক্রি করে ১৫-২০ টাকা প্রতি পিস।

একটি পরামর্শ; এখানে এলে চেষ্টা করবেন সকাল সকাল আসার জন্য, তাহলে নিরিবিলি দেখতে পারবেন। ভোরে রওনা দিয়ে আকরান বাজারে এসে নাস্তা খেয়ে চলে গেলেন শ্যামপুর, সেখানে গোলাপের বাগান ঘুরে, তার একেবারে শেষ মাথায় গিয়ে লাউয়ের ক্ষেত, কুমড়ার ক্ষেত এসব ঘুরে নির্বিঘ্নে ঘন্টা দুয়েক সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।

পথিমধ্যে দেশী পাকা পেঁপে, বেল, বরই এসব পাবেন; একটু জিরিয়ে নিতে নিতে খেতে পারেন এসব দেশী ফল। এছাড়াও আছে চিপস, কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম ইত্যাদি। বড় বাগানগুলোতে ঢুকে ছবি তোলা যায়, তার জন্য দুই টাকা দরে গোলাপ কিনতে হয়।

এ ছাড়া কিছু বাগান আছে, যেখানে ঢুকতে কোন শর্ত নেই। ছোট ছোট ফুলের দোকানও আছে সেখানে আর আছে অজস্র খাবারের দোকান। শুনেছি বিকেলে নাকি নাগরদোলা চড়ারও ব্যবস্থা থাকে। সব মিলিয়ে আধাবেলার ট্যুরের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে।

দেশে বা বিদেশে যেখানেই ভ্রমণ করবেন, খেয়াল রাখিন যেন আমার আপনার কারনে পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়; হ্যাপি ট্রাভেলিং। 

5 thoughts on “চোখ জুড়ানো গোলাপের সমাহার”

  1. Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top