জিন্দা পার্ক (Zinda Park)

জিন্দা পার্ক (Zinda Park)

জিন্দা পার্ক কোথায়? (Zinda Park Location)

জিন্দা পার্কের (Zinda Park) প্রশংসা শুনেছি অনেক; ঢাকার এত কাছাকাছি এত সুন্দর একটি জায়গা আছে, না গেলে বুঝতে পারতাম না। পূর্বাচলের ঠিক পরে জিন্দা গ্রামে এটির অবস্থান। প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা, পাঁচ বছরের নীচে ৫০ টাকা। টিকেট কাউন্টারের পাশে পরিষ্কার করে লিখে দিয়েছে, কোন অশালীন কাজ বা পরকীয়া করার জন্য যেন কেউ প্রবেশ না করে! ফলে, পরিবেশ সেখানকার অত্যন্ত সুন্দর ও শালীন।

এটি মূলতঃ একটি গ্রাম; সেটিকেই গ্রামের লোকেরা একটি পার্কের রুপ দিয়েছে। পিকনিক স্পট হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে। একদিনে ঘুরে বেড়ানোর জন্য চমৎকার জায়গা। ভিতরেই খাবারের ব্যবস্থা আছে; দাম সীমার মধ্যে। কেউ বাইরে থেকে খাবার নিতে চাইলে অতিরিক্ত ২৫ টাকা করে দিতে হয়। অনেক ফ্যামিলি ভিতরে বিছানা চাদর পেতে আয়োজন করে খাবার খায়, অনেকে নরম ঘাসের উপর শুয়ে থেকে একটা কাব্যিক ফিলিংস নেয়ার চেষ্টা করে।

অনেকগুলো পুকুর আছে ভিতরে, আছে গাছ-গাছালির সমাহার; যত্ন করে সাজানো হয়েছে জায়গাটিকে। পাঁচতলা একটি লাইব্রেরি আছে; প্রবেশ করতে ১০ টাকা লাগে। পুকুরে প্যাডেল বোট আছে, ছোটটি ১০০ টাকা, বড়টি ২০০ টাকা; সময় বিশ মিনিট। একটা ঝামেলা হলো খেলার সরঞ্জাম নেয়া নিষেধ, যদিও বাচ্চাদের বল নিয়ে খেলতে দেখেছি। ভিতরে ফুচকা, চটপটি ও আচার কিনতে পাওয়া যায়; চালতার আচারটা বেশ সুস্বাদু। বেশ কয়েকটি গ্রাম্য ঘর আছে সেখানে, কিছু পরিবারও তাতে বাস করে।

ছুটির দিনগুলোতে প্রচুর লোক সমাগম হয়, বিপূল সংখ্যক প্রাইভেট গাড়ি জড়ো হয় সেখানে; আছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। নানান শ্রেণী-পেশার লোকদের একটি সুন্দর মিলনমেলা এটি। এর মসজিদটির ডিজাইনের মধ্যে মুন্সীয়ানা আছে। জিন্দা গ্রামের লোকদের এই উদ্দ্যগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

জিন্দা পার্ক যাওয়ার উপায় (How to Go Zinda Park)

“ঢাকা থেকে জিন্দা পার্কের দূরত্ব ৩৭ কিমি। ঢাকার যেখানেই থাকুননা কেন প্রথমেই চলে যান কুড়িল বিশ্বরোড। কুড়িলের বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে নামতে হবে কাঞ্চন ব্রীজ; খরচ পড়বে ২৫ টাকা। কাঞ্চন ব্রীজ থেকে জিন্দা পার্ক বাইপাসে যেতে অটো বা লেগুনাতে খরচ পড়বে ২০-৩০ টাকা। বাইপাসে নেমে ডিরেকশন অনুযায়ী হেঁটেই পৌঁছাতে পারবেন কিংবা রিক্সায় যেতে পারবেন” (এই গাইডলাইন ইন্টারনেট থেকে নেওয়া)।

বিশেষ সতর্কতাঃ খাবারের উচ্ছিষ্ট, চিপসের প্যাকেট কিংবা পানির বোতল যেখানে সেখানে ফেলে এর সৌন্দর্য নষ্ট করবেন না। আমাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top