মুপ্পোছড়া ঝর্ণাটি পাহাড়ের একেবারে চূড়ায়; আর সেই পাহাড়ের পাদদেশে মুপ্পোছড়ার ঝিরির সাথে আরো দুটো ঝিরি এসে মিলিত হয়ে আরেকটি ঝর্ণার সৃষ্টি করেছে, তা হলো ণ’কাটাছড়া বা সংক্ষেপে ণ’কাটা ঝর্ণা।
কাপ্তাই নেমে প্রথমে বোটে করে বিলাইছড়ি, সেখান থেকে আধাঘন্টা আবার বোটে করে গিয়ে ৪৫ মিনিট ট্রেকিং করলেই মুপ্পোছড়া ঝর্ণার সন্ধান পাওয়া যায়। আমরা গতবছর আগস্টে এই সুন্দরীদের দেখতে যাই এবং তাদের স্রোতধারায় অবগাহন করি।
তবে, আশ্চর্যজনকভাবে এই দুটি ঝর্ণাতেই গোসলের সময় শরীর প্রচুর চুলকাচ্ছিল; আমার একার নয়, প্রায় সবার। পরে একজন বলল, যেহেতু সেদিন পানির ফ্লো কম ছিল এবং পানি বিশেষ এক গাছের পাতা বেয়ে নামছিল, সে কারনে শরীর চুলকাচ্ছিল; সত্য-মিথ্যা জানি না।
কাপ্তাইয়ের এক স্কুল শিক্ষক এই ঝর্ণায় গিয়েছিলেন তার ছাত্রদের নিয়ে এবং সাথে ঐ শিক্ষকের নিজের ছেলেও ছিল; এ কারনেই এখানে বেশ কয়েকজন পিচ্চিকে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষক যেভাবে সেভেন-এইটের ছেলেদের সাথে আনন্দ করতে করতে মিশে গিয়েছিলেন, সেটি ছিল দেখার মত।
আগে এত না থাকলেও এখন ঝর্ণাগুলোর ট্রেইলের পাশে পাহাড়ীরা নানান ফলের ও লেবুর শরবতের পসরা সাজিয়ে বসে, দামও কম নয়। তবে, এই ক্লান্তিকর ট্রেকিং-এ তাদের সাথে খানিক দাঁড়িয়ে গল্প করতে আর ফলমুল খেতে খুব ভালো লাগে বৈকি!
আপনার লেখাগুলো অনেক সুন্দর।