সোনাদিয়া ট্রিপ হলো এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত; সোনাদিয়ায় একদিন আর কক্সবাজারে একদিন! তবে, সোনাদিয়া থেকে বোটে কক্সবাজারে নাজিরারটেক ঘাটে এসে একটা মস্ত ভুল করেছি; আমি বোটের শেষ মাথা থেকে লাফ দিয়েছিলাম সাঁতরে তীরে উঠব বলে, কিন্তু পারছিলাম না ভাটার কারনে।
যতই সাঁতরাচ্ছি কূলে আসতে পারছিলাম না, অবশেষে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে একসময় উঠে এসেছি! এই ভুল আর কেউ করবেন না, এখানে লাবনী, সুগন্ধা বা কলাতলী পয়েন্টের সাথে এ পাশের অনেক পার্থক্য আছে।
দুপুর ১২ঃ০০ টায় হোটেলে চেক ইন করে চলে গেলাম সুগন্ধা বীচে; এখানে একবার গোসল না করলে এই আক্ষেপ আঁটানো যাবে না। ঘন্টাখানেক ঝাঁপাঝাঁপি করে ফিরে এলাম এবং লাঞ্চ করে আবার গেলাম সূর্যাস্ত দেখার জন্য।
সোনাদিয়া বীচের পানি এত লবনাক্ত যে সেই তুলনায় সুগন্ধা পয়েন্টের পানি মনে হচ্ছিল মিঠা পানি। গতকাল পানির কালারও পেয়েছি ভালো। বীচ লোকে লোকারণ্য, এখানে রিজার্ভের ঘাটতি নিয়ে কোন টেনশন নেই, জিনিসপত্রের দাম নিয়েও আলাপ আলোচনা নেই।
বীচের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ; দুটি সিট নিয়ে আমরা বসেছিলাম দুই ঘন্টা। এমন কোন মিনিট নাই যখন অন্ততঃ একজন ফেরিওয়ালা ও একজন ভিক্ষুক না এসেছে; শান্তিমত বসার কোন উপায় নেই। জোয়ান মহিলারা সমানে নেমে গেছে ভিক্ষায়! ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরী।
কক্সবাজার বরাবরই অন্যরকম, এর সাথে কোনকিছুর তুলনা হয় না; যেমন তার বিশালতায়, তেমন তার সৌন্দর্যে! কিন্তু সে যত্ম আমরা করতে পারলাম কই? মানুষ তবু আনন্দে উচ্ছল হচ্ছে, আমার মত সিটে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করছে, ঢেউয়ের গর্জনকে ধারণ করছে, সমুদ্রে অবগাহন করছে, এই বিশালতার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে সুখের সাগরে হারাতে চাইছে।