মসজিদ ইন্ডিয়া কুয়ালালামপুর শহরের একটি বিখ্যাত জায়গা; এলাকার নামে মসজিদের নাম নাকি মসজিদের নামে এলাকার নাম, তা জানা নেই। এই এলাকাতেই রয়েছে উপমহাদেশের লোকদের কেনাকাটার স্বর্গ খ্যাত মাইডিন ও হানিফা মার্কেট।
মসজিদ ইন্ডিয়ায় আগেরবার নামাজ পড়ার সুযোগ পাইনি, এবার গেলাম যখন, আসরের জামাত শেষ হয়ে গেছে। মসজিদ নেগারায় দেখেছিলাম ইকামাত দিয়েছে মক্কা মদীনার নিয়মে একবার করে, সেই হিসেবে নামাজের শেষে মোনাজাত ধরার কথা না, কিন্তু এখানে দেখলাম নামাজের শেষে আমাদের দেশের মতই ইমাম সাহেব মোনাজাত ধরলেন এবং মোনাজাত শেষে সুন্দর করে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
মসজিদ ইন্ডিয়া আয়তনে খুব বেশী বড় নয় কিন্তু ভিতরটা অত্যন্ত সুন্দর; একেবারে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এসব বিদেশ বিভুঁইয়ে একটা বড় আনন্দ হলো, মসজিদে নানান দেশের নানান চেহারার নানার ভংগিমার মুসল্লী দেখা যায়।
মসজিদ জামেক
মসজিদ ইন্ডিয়া থেকে ৭ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে রয়েছে আরেক বিখ্যাত মসজিদ জামেক। খেজুর গাছ পরিবেষ্টিত এই মসজিদটি অনুপম সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে মদিনার মত বড় বড় ছাতা আছে তবে এগুলো ফোল্ডিং হয় কিনা জানি না। এখানে দুটি সুউচ্চ ও সুদৃশ্য মিনার রয়েছে।
মসজিদ ইন্ডিয়া ও মসজিদ জামেকের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে মহিলাদের স্যান্ডেল, হিজাব ও নানান সাইজের ব্যাগের খুচরা দোকান; অনেকটা আমাদের নিউমার্কেটের বাহিরের দোকানগুলির মত। এখানে কম দামে জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
এই জায়গা দিয়ে চলার পথে একজন মালয় ভিখারিনীকেও পেলাম, তিনি খাবারের জন্য সাহায্য চাইছেন। এটি সত্যিই অবাক করা, যেন প্রদীপের নীচে এক টুকরো অন্ধকার! এত সুউচ্চ অট্রালিকার দেশে এমন দুই একজন অভাবী মানুষের দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে না কেন?!