স্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের যেহেতু বাজেট কম, চলো নেপাল অথবা থাইল্যান্ড যাই; তিনি বললেন, না, ছেলে বড় হয়ে গেছে, এখন থাইল্যান্ড যাওয়া যাবে না! তার চেয়ে একটা মুসলিম কান্ট্রিতে যাই!
তো এই মুসলিম কান্ট্রিতে ছয়দিন ধরে ঘুরে যা দেখলাম, তাতে মনে হয়েছে থাইল্যান্ড গেলেই বোধহয় ভালো হতো! গতবারই আমি ফিরে গিয়ে লিখেছিলাম, মালয়েশিয়া একটা সেক্যুলার কান্ট্রি, কিন্তু সেবার অসুস্থ হয়ে যাবার কারনে আমি ভালোভাবে ঘুরতে পারিনি; এবার বোঝা গেল এর মাজেজা!
এত খোলামেলা পোশাক একটা মুসলিম দেশে কেউ আশা করে না। সিংগাপুর আর মালয়েশিয়ার কালচার সেইম। যত্রতত্র মদের দোকান আর অবাধ বেচাকেনা। যে সংখ্যক মালয়েশিয়ান আছে রাস্তায়, সমসংখ্যক ফরেনার আছে; নারী পুরুষ নির্বিশেষে হাফপ্যান্ট, ছোট হাফপ্যান্ট, কোয়ার্টার হাফপ্যান্ট পরে চলাফেরা করছে। মালয় মহিলারা অবশ্য সারাক্ষণ মাথায় হিজাব পরিধান করে থাকেন।
বাই দ্যা ওয়ে গতকাল রাতে ডিনারের পর পুলের পাশে হাঁটতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম রবার্টসনের নর্থ বিল্ডিং থেকে প্রতিরাতেই জ্বলজ্বলে টুইন টাওয়ার ও মিনারা কেএল টাওয়ার দেখা যায়! নর্থ টাওয়ারের বাসিন্দাদের প্রতি হিংসা। আমরা তবু কিছুটা পুলের পাশ থেকেই দেখলাম।
সকালবেলা ৪৬ তলার গার্ডেন দেখতে গেলাম; সেখান থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মেঘে ঢাকা মিনারা কেএল টাওয়ার ও টুইন টাওয়ার সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে আর পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে!