লিভিং রুট ব্রীজ – মেঘের আলয়ে নিমন্ত্রণ – ৩

লিভিং রুট ব্রীজ - মেঘের আলয়ে নিমন্ত্রণ - ৩
লিভিং রুট ব্রীজ

চেরাপুঞ্জি যাবার পথে আরেকটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটে গেলাম; তার নাম লিভিং রুট ব্রীজ। কেবলমাত্রা গাছের কান্ডের উপর গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী ব্রীজ, এর নীচ দিয়ে চলে গেছে একটি অনিন্দ্যসুন্দর ঝর্ণা।

ঝর্ণায় যাব আর গোসল করব না, সাঁতার কাটব না, তা তো হয় না; কিন্তু সারাদিনে এই সুযোগটির দেখা মিলল না। শেষ পর্যন্ত সুযোগটি পেলাম লিভিং রুট ব্রীজের ঝর্ণায়, এর নাম জানতে পারিনি। 

লিভিং রুট ব্রীজ - মেঘের আলয়ে নিমন্ত্রণ - ৩

এখানকার ঝর্ণাগুলোর সবগুলোতেই যাবার জন্য চমৎকার সিঁড়ি থাকে আর থাকে রেলিং। প্রায় সব জায়গাতেই পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। এখানকার প্রায় প্রতিটি স্পটে যেতে ২০ থেকে ৫০ রুপি চার্জ লাগে আর টয়লেট ব্যবহার করতে ৫/১০ রুপি লাগে, আর লাগে পার্কিং চার্জ।

এই ঝর্ণায় নামার পারমিশন আছে কিন্তু কতদূর যাওয়া যাবে তার সীমানা আছে; সেই সীমানা না জানার কারনে এই ঝর্ণার একেবারে কাছে গিয়ে গা এলিয়ে দিয়েছিলাম। সম্বিৎ ফিরে পেলাম সিকেউরিটি গার্ডের চিৎকার শুনে; সে ত্রস্ত ভঙ্গিতে আমাকে সরে যেতে বলল এবং জানিয়ে দিল, রেলিং বা পাড়ের একেবারে কাছাকাছি থাকতে হবে, পরে তাই করলাম।

সারারাতের নির্ঘুম ক্লান্তি এবং দিনের পুরোটা সময় ঘোরাঘুরির ক্লান্তি লিভিং রুট ব্রীজের ঝর্নার পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে চেরাপুঞ্জির পথ ধরলাম; ঘড়িতে তখন বিকেল ৫ টা। মেঘের ব্যারিকেড সরিয়ে চেরাপুঞ্জিতে যখন পৌঁছলাম, তখন রাত ৮ টা; থাকার হোটেলের অবস্থান শহর থেকে বেশ দূরে, এক ধরনের শান্তি শান্তি ভাব এবং নির্জনতা এখানে আছে। সেই নির্জনতার পরশে নিজেকে ঘুমের রাজ্যে বিচরণ করতে দিলাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top