আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম – (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-২৩)

আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-২৩)

সুলতান আহমেদ প্রাংগন থেকে বেরিয়ে আসতেই সামনে পড়ল আয়া সোফিয়া; আজকে সেদিনের চেয়ে বেশী সুন্দর লাগছে, কারনে আজকে আকাশে মেঘ কম এবং সূর্য পুরো না উঠলেও তাঁর একটা আভা দেখা যাচ্ছে, সেই আভায় আয়া সোফিয়াকে আরো উজ্জ্বল লাগছে।

বেশীক্ষণ এখানে না দাঁড়িয়ে হাঁটা দিলাম আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়ামের দিকে। এখানকার প্রত্যাকটি স্থাপনার বাইরে বড় বড় চত্তর থাকে, এখানেও তাঁর ব্যতিক্রম নেই।

আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়ামের বাইরে একটি নগ্নমূর্তি দেখে কিছুটা থমকে দাঁড়ালাম! ভিতরে প্রবেশ করে মিশ্র অনুভূতি হলো; এখানে যেমন প্রাচীন ঐতিহাসিক অনেক কিছু আছে, সেই সাথে নানান ধরনের মূর্তির বাহুল্য আমার জন্য কিছুটা পীড়াদায়ক বৈকি!

তবে, নিঃসন্দেহে এটি অনেক সমৃদ্ধ; এখানে অতি প্রাচীনকালের শিলালিপি আছে, আছে মার্বেল পাথরের উপর খোদাই করা নানান ছবি। আর আছে অসংখ্য প্রাচীনকালের মূর্তি।

এখানকার একটা পরিবেশনা বেশ অভিনব মনে হয়েছে; গোলাকার একটি স্ক্রীনে বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে যে যুগ ছিল তার একটি এনিমেশন তৈরি করা হয়েছে যেটি দেখতে একেবারেই রিয়েল মনে হয়, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখলাম।

আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম থেকে যখন বেরিয়ে আসছিলাম, তখনই চোখ গেল হাতের ডানে একটি পার্কের দিকে; খুবই সুন্দর দেখতে সে পার্ক, যেমন সবুজ গালিচা বিছানো রয়েছে তার প্রতিটি অংগজুড়ে। গেটের কাছে গিয়ে দেখলাম, এই পার্কের নাম গুলহানে পার্ক!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top