ডোগান রেস্টুরেন্ট – (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)

ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)
ডোগান রেস্টুরেন্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১৭)

মারমারা সাগরের পাড় থেকে ড্রাইভার সোয়াদের সাথে রওনা দিলাম; তাকে বোঝাতে সমর্থ হলাম যে আমি একটা রেস্টুরেন্টে যেতে চাই। সকালে নাস্তার পর সারাদিন কিছু খাইনি, এখন খাবার খুব দরকার। সে তার মালিকের সাথে কথা বলল এবং এরপর আমাকে ‘ডোগান রেস্টুরেন্ট’ নামে এক রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল।

দেখেই মনে হচ্ছিল, এটা দামী রেস্টুরেন্ট। এখানে নানান বিচিত্র পদের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়, এটাই এই রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব। ভিতরে ঢুকে দেখি লোকে লোকারণ্য। এক অপূর্ব সুন্দর দম্পতি আমার বাম পাশে বসেছে; অপূর্ব মানে অপূর্ব, যেমন সুন্দর পুরুষ, তেমন সুন্দর মহিলা! মহিলাটির কোলে একটি বাচ্চা, কাপড় দিয়ে আবৃত থাকায় দেখা যাচ্ছে না; না জানি কত সুন্দর সে বাচ্চা!

বসে তাদের দেখছি, এমন সময় এক বেয়ারা একটি সুন্দর ডাটাওয়ালা গোলাপ এনে পুরুষটির হাতে দিল, তিনি সেটি গভীর আবেগে তার স্ত্রীকে দিলেন, সে এক মোহনীয় দৃশ্য!

হাত মুখ ধুয়ে এসে বসলাম, বেয়ারা মেন্যু লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে গেছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি আমাদের নীরব হোটেলের মত ভাজি ভর্তা টাইপ একটা ডেজার্ট ট্রে এসে গেছে, সেখানে ১৫-২০ পদের খাবার! আমি তো বুঝে গেছি, এগুলি সব টক দিয়ে ভর্তি; দুই ধরনের মাছ নিলাম আর একটা ব্রেড নিলাম, বেয়ারা হতাশ হলো!

এরপর আমি আর সোয়াদ মিলে অর্ডার করলাম কাবাব প্ল্যাটার, আর গ্রীন সালাদ, সাথে এরাবিয়ান একটা কমন আইটেম যার নাম ভুলে গেছি; এটা আমি বাংলাদেশে লেবানিজ রেস্টুরেন্টে খেয়েছি।

এদিকে মুখ তিতা করে মাছ ফ্রাই খাচ্ছি আর অপেক্ষা করছি কাবাব কখন আসবে। কাবাব এলো বিশাল এক হাঁড়িতে করে! এই কাবাব দুইজনে খেয়ে শেষ করা যাবে না; পারলামও না। খুব সুস্বাদু কাবাব, মূলতঃ ল্যাম্ব এর। এটি আমি ধানমন্ডি ২৭ এর আল-আমার এ অনেকবার খেয়েছি, পরিচিত স্বাদ, ভালোও লাগে আমার।

কিছু অবশিষ্ট রেখেই উঠতে হলো, ভরা পেট নিয়ে বাইরে এসে রঙ্গীন আলোয় দাঁড়ালাম; ঠান্ডা বাতাস ঝিরিঝির করে বইছে, কেমন একটা মোহনীয় পরিবেশ সব মিলিয়ে। থেকে থেকে কেবল পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে হাসির শব্দ ভেসে আসছে।

অতঃপর সোয়াদ আমাকে হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেল এবং সেই সাথে শেষ হলো ইস্তাম্বুলে একটি প্রথম পূর্ণ দিন; নামাজ পড়ে ঘুমাতে গেলাম এক অদ্ভুত তৃপ্তি নিয়ে, ট্রেনিং এর কথা আর মনেই রইল না।!

এখানে একটা বিষয় এড়িয়ে গেছি, যেটি উল্লেখ না করলে টপকাপি মিউজিয়ামের আলোচনা পূর্ণ হবে না, অন্ততঃ আপনারা যারা সুলতান সুলেমান, দিরিলিস আর্তুগ্রুল ও কুরুলুস ওসমান দেখেছেন, তাদের মনে প্রশ্ন আসবেই, অটোমানদের অস্ত্রশস্ত্র গেল কই? সেই সব অস্ত্রশস্ত্র সাজানো আছে আর্মারিতে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখলাম না, তবে ছবি দিলাম পর্যাপ্ত; এখান থেকেই দেখতে পাবেন তাদের অস্ত্রের বৈচিত্র ও সৌন্দর্য!

আরেকটি ব্যাপার আছে আর্মারিতে, তা হলো, এখানে বিপুলসংখ্যক ঘড়ির সমাহার রয়েছে, যেগুলো অটোমান পিরিয়ডে ব্যবহৃত হতো। সেসব ঘড়ির যেমন রয়েছে বাহারি ডিজাইন তেমনই রয়েছে অনুপম নির্মানশৈলী। প্রতিটি আইটেমের পাশে বা নীচে সেই আইটেমের বর্ণনা আছে, সব এখানে লেখা সম্ভব না, তবে এগুলো দেখলে বোঝা যায়, মানুষ সে সময় কত রুচিশীল ও সৃষ্টিশীল ছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top