ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট – (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১)

ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১)
ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১)
ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট - (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১)

ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট একটি অতি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। এর অপরূপ ইন্টেরিয়র ডিজাইন সহজেই নজর কাড়ে এবং এর আভিজাত্যের জানান দেয়।

এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে করে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি যেখানে ট্রেনিং করব তারাই আমার এয়ারপোর্ট পিক এন্ড ড্রপের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

গুগল ম্যাপে দেখলাম, ৪০ কিমি দূরত্ব, আসতে লাগলো প্রায় ৪০ মিনিট। চমৎকার ঝকঝকে রাস্তা, রাস্তার ডানপাশ দিয়ে সারি সারি গাড়ি এগিয়ে চলেছে, কোন তাড়াহুড়া নেই, কোন জ্যাম নেই।

আসতে আসতে বুঝতে পারলাম, এটি একটি পাহাড়ি শহর, অনেকটা আমাদের চট্রগ্রামের ও আর নিজাম রোড আর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার মতো।

এক জায়গায় দেখলাম, রাস্তার সমান সমানে কয়েকটি মেঘের খন্ড ভেসে রয়েছে, যেমনটি আমাদের চাঁপাই নবাবগঞ্জে আমের সিজনে দেখা যায় মাটি থেকে এক ফুট উপরে আম ধরে থাকে তেমন। সমতলের এত কাছাকাছি আমি এর আগে কখনো মেঘ দেখিনি।

ডলার ভাংগিয়ে সিম কেনা দরকার সবার আগে। এ পর্যন্ত এমিরেটস এর খাবার খেতে খেতে এসেছি। এবার টার্কিশ খাবার খাওয়ার পালা। হোটেলে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম, মানুষজনকে জিগ্যেস করতে করতে দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে বিখ্যাত তাকসিম স্কয়ারে পৌঁছে গেলাম।

এর মধ্যেই একের পর এক দৃশ্য চোখে ধরা দিতে লাগলো; এখানকার যুবক যুবতীরা প্রায় সবাই অতি সুদর্শন এবং হ্যান্ডসাম, এদের চেহারায় নিজস্ব জাতিগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

চলাফেরায় এরা একেবারেই কেয়ারলেস, ছেলে-মেয়ে, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে এরা ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতে সিগারেট খাচ্ছে, কারো মধ্যে কোন জড়তা নেই। এদের দেখলে মনে হবে, সিগারেট না খাওয়াটা অপরাধের মধ্যে পড়ে। আর সিগারেট ধরানোর সে কি ভংগি!

আমি উইন্টারে আসব শুনে দুই একজন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন; বলেছিলেন, শীতকালে গেলে তো কিছু দেখতে পারবেন না, মেয়েরা ভারী কাপড় পরে থাকবে। সামারে গেলে দেখতেন এটা কেমন ইসলামিক কান্ট্রি! তার কিছুটা ছিটেফোঁটা দেখা গেল বটে; ৭° ফিল টেম্পারেচারেও কিছু মেয়ে গায়ে জ্যাকেট চাপিয়ে হাফপ্যান্ট পরে হাঁটছে! শীতের উপর বোধকরি তাদের খুব রাগ!

2 thoughts on “ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট – (ইস্তাম্বুলের অভিযাত্রী-১)”

  1. Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top