গালাতা টাওয়ার থেকে নামতে মন চাচ্ছিল না; আমার সাথে যারা উঠেছিল, তারা প্রায় সবাই নেমে গেছে, আমি বারবার বারান্দাটা ঘুরে ঘুরে দেখছি, এই সৌন্দর্য ছেড়ে একবার বেরিয়ে গেলে আর পাব না। তবু, মানুষ একসময় ক্লান্ত হয়; ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিলাম, সবাই সিঁড়ি বেয়েই নামছে!
ওয়াল্লাহ! এ কি দেখছি! এই গালাতা টাওয়ার তো আসলে একটি মিউজিয়াম! প্রতি ফ্লোরেই নানান অনুপম বৈশিষ্টে একে সাজানো হয়েছে। একেক ফ্লোরে একেক ধরনের জিনিস ও বিষয়বস্ত। একটি ফ্লোর রাখা হয়েছে শুধুমাত্র কামাল আতাতুর্ক এর জীবনী নিয়ে; এখানে রয়েছে তার নানান কর্মকান্ডের সাদা-কালো ছবি।
কিছু কিছু ছবিতে দেখা যায়, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী কিছু মানুষ কাঁদছে। কিছু ভিডিও এনিমেশনও চলতে দেখা গেল। এখানে আমাদের নৌকা মার্কার একটি সুন্দর বড় সাইজের একটি নৌকা রাখা আছে, আর আছে মার্বেল পাথরে খোদাই করা বেশ কিছু ছবি!
সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে এর সিঁড়িগুলো; কার্ভ করে বানানো সিঁড়িগুলোতে আলোর বিন্যাস এত চমৎকার যে, মনে হয়, শুধু এই পথ ধরেই হাঁটা যাবে অনন্তকাল!
এক টুকরো ইতিহাসঃ
গালাতা টাওয়ার ইস্তাম্বুলের গালতা জেলায় অবস্থিত একটি টাওয়ার। এটি ৫২৮ সালে নির্মিত; ভবনটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকগুলির মধ্যে একটি। এই টাওয়ার থেকে বিস্মৃতভাবে বসফরাস এবং গোল্ডেন হর্ন দেখা যায়। ইউনেস্কো ২০১৩ সালে এই টাওয়ারটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ টেন্টিটিভ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
একরাশ বিস্ময় ও ভালো লাগা নিয়ে গালাতা টাওয়ার থেকে বেরোলাম; এখানে না এলে এই ট্যুর অসমাপ্ত থাকতো। আর এখানে যেতে হবে সন্ধ্যার পরে, নইলে টাকা জলে যাবে।
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!